খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি ৬ মে পর্যন্ত মুলতবি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা গ্যাটকো ও নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ৬ মে পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসাইন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুদক যেসব অভিযোগে মামলা করেছে, তাতে তথ্যগত অনেক ভুলত্রুটি রয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনৈতিক হয়রানি করতেই তারা এই মামলা করেছে। মামলা করার ক্ষেত্রে যেসব ভুলত্রুটি রয়েছে, তা আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি। আদালত চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে ৬ মে পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেছেন।’
গ্যাটকো মামলা
চট্টগ্রাম বন্দর ও কমলাপুরের টার্মিনাল কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে মেসার্স গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তাঁর ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে।
২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
মামলায় অনুমোদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে এ রুল জারি করেন। এ ছাড়া মামলাটি জরুরি ক্ষমতা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৭ সালে আলাদা একটি রিট করা হয়। এ বিষয়ে জারি করা রুলে চূড়ান্ত শুনানির জন্য পৃথক আবেদন করে দুদক।
নাইকো মামলা
কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন হাইকোর্ট।