ঢাকা-কলকাতা, কলকাতা-আগরতলার পর এবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে খুলনা-যশোর-কলকাতা পথেও সরাসরি বাস চলাচল শুরু করেছে।

আজ মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে এই চলাচল শুরু হয়। ফুল দিয়ে সাজানো দুটি বাস বিকেল ৫টায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার কসবা ডিপো থেকে পরীক্ষামূলক বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এ সময় পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাসের মইনুল কবিরসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

মইনুল কবির বলেন, কলকাতা থেকে খুলনা যেতে সময় লাগবে সাত থেকে আট ঘণ্টা। তবে আগামী দিনে এই যাতায়াতকে আরো গতিশীল করে তোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

এদিন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ) আজ নতুন পথে পা বাঁড়িয়েছে। বাংলার নবদিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। 

আগামীতে মিয়ানমারের সঙ্গেও পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে পরিকল্পনা রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

এদিন কলকাতা-খুলনা বাসের পরীক্ষামূলক চলাচলের পাশাপাশি ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি পর্যন্ত পণ্য পরিবহন পথের পরীক্ষামূলক চলাচলের শুভ সূচনা হয়।

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস চালুর ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল মোটর ভেহিকেলস অ্যাগ্রিমেন্টের (বিবিআইএন-এমভিএ) আওতায় এই বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সার্ভিসকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এরই মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) টাকায় কলকাতা-পেট্রাপোল জাতীয় সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে বলেও জানা গেছে।

এদিকে বাসের সঙ্গে আসা পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন বিভাগের সচিব আলাপনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে বেনাপোল চেকপোস্টে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলা প্রশাসকের পক্ষে শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সালাম, কাস্টমসের উপকমিশনার মারুফ হোসেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেন।

যশোর হয়ে এই পথে বাস চালাবে ভারতের ভূতল পরিবহন নিগম। বিকেলে বাসটি বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে খুলনা ছেড়ে যায় পুলিশি নিরাপত্তায়।