ভারতীয় গরু আসতে পারে, তবে নিয়ম মেনে
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অতিরিক্ত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের গবাদিপশুর চাহিদা পূরণের জন্য ভারতীয় গরু আসতে পারে, তবে তা নিয়ম মেনে। বাংলাদেশের কোনো গরু ব্যবসায়ী বা তাঁদের কোনো লোক সীমান্তের ওপারে যেতে পারবেন না। প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি কোনো লোককে সীমান্তের ওপারে যেতে বাধ্য করা যাবে না।
বিজিবি রংপুর অঞ্চলের অধিনায়ক আরো বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গরু পৌঁছে দেবেন এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিট খাটালির মাধ্যমে সরকারি ট্যাক্স পরিশাধ করে গরুগুলো বাজারজাত করবেন। কোনোভাবেই যাতে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার দুপুরে নওগাঁয় ৪৩ বিজিবির গ্রাউন্ডে স্থানীয় সাংবাদিক এবং ৪৩ বিজিবির আওতাধীন সব বিওপি কমান্ডারের উদ্দেশে বিজিবি কর্মকর্তা এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি আটক মাদকদ্রব্য ধ্বংসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নওগাঁ ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাজিউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ২০১৫ সালের ১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে আটক ১৩ হাজার ৬৯০ বোতল ফেনসিডিল, ৮৪৮ বোতল বিভিন্ন প্রকারের মদ, চার হাজার ৯২৯ পিস ভারতীয় ইনজেকশন, ৬২০ লিটার চোলাই মদ, চার কেজি গাঁজা, ২৬৬টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ছয় মিলিগ্রাম ভারতীয় হেরোইন, ২৯ বোতল ভারতীয় কফ সিরাপ ডিএক্স এবং চার লিটার কালটার বিষ ধ্বংস করা হয়।