শেরেবাংলার নামে পদ্মা সেতু করার দাবি
পদ্মা সেতুর নামকরণ উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিক, জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নামে করার দাবি উঠেছে। শেরেবাংলার ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকার শেরেবাংলা স্মৃতি একাডেমি ও রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে অবস্থিত শেরেবাংলার জন্মভবনসহ তাঁর স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সাতুরিয়ায় শেরেবাংলার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করারও দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভায় রাজাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরউজ্জামান প্রধান অতিথি এবং শেরেবাংলা স্মৃতি একাডেমির আজীবন সদস্য সাংবাদিক হেমায়েত উদ্দিন হিমু প্রধান বক্তা ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. বদরুদ্দিন তোতা মৃধা। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুণ অর রশিদ, রাজাপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এনামুল হোসেন খান, রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সহসভাপতি আহসানুল কবির মামুন, ঝালকাঠি মিডিয়া ক্লাবের সহসভাপতি রহিম রেজা, রাজাপুর প্রতিবন্ধী সমিতির নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর শরীফ প্রমুখ শেরেবাংলার জীবনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করেন।
পরে শেরেবাংলার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বিকেল ৫টার দিকে সাতুরিয়া গ্রামে অবিভক্ত বাংলার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে সাতুরিয়ার ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সহস্রাধিক মানুষ এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঝালকাঠির জেলা পরিষদ প্রশাসক সরদার মো. শাহ আলম।
প্রধান বক্তা ছিলেন (টেলি কনফারেন্স) ছিলেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান ও রাজাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু। সভাপতিত্ব করেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সভাপতি কে এম আবদুল করিম। সভায় বক্তারা শেরে বাংলার জন্মস্থানকে সংরক্ষণের দাবি জানান।
এর আগে সকালে শেরেবাংলার জীবনী নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।