চোরাই গাড়িসহ নরসিংদীতে গ্রেপ্তার ২
নরসিংদীর শেখেরচর থানার বাবুরহাট থেকে এক মাস আগে চুরি হওয়া গাড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শনিবার দুপুরে র্যাব ১১-এর একটি টহলদল চোরাই গাড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের কর্মকর্তা মো. একরামুল ইসলামের নেতৃত্বে কাচপুর-নরসিংদী মহাসড়কসংলগ্ন এ এস ইন্টারন্যাশনাল সিএনজি স্টেশনের সামনে চোরাই গাড়িসহ দুজনকে আটক করা হয়। গাড়িচোর দলের এই দুই সদস্য হলেন রাজশাহীর হেলালপুর এলাকার আরিফুল ইসলাম ওরফে জীবন (২০) ও রাজশাহীর মুর্শিদপুরের হৃদয় হাসান (২১)।
গ্রেপ্তাকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত গাড়িটি হালকা সোনালি রঙের বলে জানিয়েছে র্যাব। গাড়িটির মডেল নং ‘১০০ টয়োটা করোলা প্রাইভেট কার’। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৭৪২১, ইঞ্জিন নম্বর ৫ অ-ই ২৪৭৫২৩, চেসিস নং-অ ঊ ১০০-৩১৬৮৮৬১’।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই সকাল ৯টার দিকে গাড়ির মালিক মীর কাশেম গাড়িটি নিয়ে নরসিংদীর সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন শেখেরচর বাজারে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে গাড়িটি আর পাননি। পরে গাড়িটি উদ্ধারের জন্য মালিক মীর কাশেম মাধবদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানা পুলিশ গাড়িটি উদ্ধারের জন্য ব্যাপক তৎপরতাও চালায়।
কিন্তু এক মাস ধরে গাড়িটি উদ্ধার না হওয়ায় অবশেষে গত ২৩ আগস্ট আদমজীনগরে র্যাব-১১ কার্যালয়ে অভিযোগ করেন গাড়িটির মালিক। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গাড়িটি উদ্ধারের জন্য র্যাবের গোয়েন্দা দল তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় চোরাই গাড়িসহ আসাসিদের অবস্থান নিশ্চিত করে কাচপুর এলাকা থেকে চোরাই গাড়িসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গাড়িচোর দলের অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আইনানুগ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে গাড়িচোর চক্রের সদস্যদের ধরার পর র্যাব ১১-এর কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেশ চাকমা জানান, ‘গাড়িচোর চক্রটি একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। র্যাবের টহলদলও মূল হোতাসহ পুরো চক্রটিকে ধরার কাজ করছে। তবে এসব ক্ষেত্রে অভিযোগগুলো থানায় যায়। আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হলে কাজটি সফলভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।’