আনসারুল্লাহর ফরিদপুর প্রধানসহ আটক চার
ফরিদপুরের তিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি, বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের চার ‘সক্রিয়’ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন আনসারুল্লাহর ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বলে পুলিশের দাবি।
আজ শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জামিল হাসান।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জেলার সদরপুর, ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন এই তিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ধর্মীয় বই, অস্ত্র, গুলি, বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
পুলিশ সুপার জানান, ময়মনসিংহের একটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নাহিদ মোল্লাকে (২০) ভাঙ্গা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নিজেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ফরিদপুর অঞ্চলের দলনেতা ফরিদ মৃধাকে (৩২) আটক করা হয়। এ সময় তাঁর সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম (৩৫) ও মহসীন মোল্লাকেও (৩৫) আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ফরিদ মৃধার বাড়িতে এবং এর আশপাশের এলাকায় একজন-দুজন করে আনসারুল্লাহ সদস্যদের সে প্রশিক্ষণ দিত। প্রশিক্ষণ শেষে এই জঙ্গিরা ফরিদ মৃধার নির্দেশ অনুযায়ী অন্য কোনো জেলায় হিজরত করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাত।
ফরিদ মৃধার বাড়ি ও তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চরভদ্রাসন উপজেলার আমিরাবাদ বাজারে অবস্থিত তাঁর বইয়ের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটারগান, পাঁচটি গুলি, ২২টি হাতবোমা, ডিভাইসযুক্ত চশমা, বিপুল ধর্মীয় বই ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম।
এই অভিযানের মাধ্যমে দেশ বড় ধরনের নাশকতা থেকে রক্ষা পেল বলে ব্রিফিংয়ে মন্তব্য করেন পুলিশ সুপার। এদের বিরুদ্ধে এখন বিভিন্ন আইনে মামলা দায়ের ও তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।