২১ আগস্টের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতাহাতি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমান কমিটিতে পদ না থাকার পরও সাবেক পদধারী নেতার সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছাত্রলীগের কর্মসূচির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বার্তা প্রেরক হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক পদধারী মিনারুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়। এর পর থেকেই সংগঠনের অনেকেই এ নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি ও বিরোধিতা করে আসছিলেন। মিনারুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগের কমিটিতে (আহম্মদ-বিপু) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে মিছিল বের করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দলীয় টেন্টে এসে শেষ হয়। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
সমাবেশ শেষ না হতেই এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বার্তা প্রেরক হিসেবে মিনারুল ইসলামের নাম থাকার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জুর কাছে জানতে চান সহসভাপতি তন্ময়ানন্দ অভি। এ নিয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাঞ্জু ও সহসভাপতি অভির মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
এ সময় রাঞ্জু ও অভির অনুসারীরা একে অপরের দিকে তেড়ে আসে। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি ও হাতাহাতি হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বিষয়টি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনকে জানালে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আনিকা ফারিহা জামান অর্ণাকে মীমাংসার দায়িত্ব দেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে অর্ণা ক্যাম্পাসে এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তন্ময়ান্দ অভি বলেন, ‘মিনারুলের পদ নিয়ে জানতে চাইলে সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু রেগে যান। এতে সভাপতির সাথে একটু উচ্চবাচ্য হয়। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা ক্যাম্পাসে এসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, ‘মিনারুলের পদ নিয়ে আপত্তি আছে সেটা আমাকে সাংগঠনিকভাবে জানালে আমি কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং ডেকে সিদ্ধান্ত নিতাম। কিন্তু তা না করে অভি সবার সামনে উচ্চস্বরে আমার সাথে কথা বলা শুরু করে। এতে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে রাঞ্জু বলেন, ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠাতে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই তাই যে কেউ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে। কিন্তু মিনারুল ওই বিজ্ঞপ্তিতে বার্তা প্রেরক হিসেবে হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করেছে সেটা আমার জানা ছিল না।’