ওভারটেক করতে গিয়ে বাসের নিচে তিন মোটরসাইকেল আরোহী

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার তারাপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন নাটোর সদর উপজেলার কান্দাহার এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে মেহেদী হাসান আপন (৩১), একই এলাকার মৃত আবদুর রহিমের ছেলে শুভ (৩০) এবং দুলু মিয়ার ছেলে সুমন (২৬)।
পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী শহর থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিন আরোহী নাটোর যাচ্ছিলেন। একই মহাসড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস রাজশাহী থেকে পুঠিয়া হয়ে আড়ানি যাচ্ছিল। তারাপুর এলাকায় বাসটিকে ওভারটেক করতে গেলে আরোহীসহ মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চলে যায়।
এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই আপন ও শুভ মারা যান। পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুমন। ঘটনান পর চালক ও তাঁর সহকারী বাস ফেলে পালিয়ে যান বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বালুবাহী ট্রাকের চাপায় মারা গেছে সরদহ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম মৃদুল। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মৃদুলের বাবা শহীদুল ইসলাম ও মা রানী বেগম। আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মুক্তারপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওসি আরো জানান, সকালে মুক্তারপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে শহীদুল ইসলাম মোটরসাইকেলে স্ত্রী রানী বেগম ও ছেলে মিনহাজুল ইসলাম মৃদুলকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার সারদা বাজারে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন।
রাস্তায় ফেলে রাখা বালুতে স্লিপ কেটে তাঁরা পড়ে যান। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি বালুভর্তি ট্রাক মৃদুলের মাথা ও রানী বেগমের পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু মৃদুল মারা যায়।
পরে স্থানীয়রা শহীদুল ইসলাম ও রানী বেগমকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার পর ট্রাক ফেলে চালক পালিয়ে গেছেন। নিহত মৃদুলের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।