মন্ত্রণালয়ের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি নাছির সমর্থকদের
কর্মকর্তাদের ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে মন্ত্রণালয় থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁর সমর্থকরা।
একই সঙ্গে ঘুষ দাবিকারী আমলার শাস্তিও দাবি করা হয়েছে চট্টগ্রামে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন পেশাজীবীরা ‘চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগ’ নামে একটি ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করে। পরে এ ব্যাপারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়।
গত বুধবার একটি অনুষ্ঠানে মেয়র সিটি করপোরেশনের বরাদ্দের জন্য পাঁচ ভাগ ঘুষের অভিযোগ আনেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সেখানে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ না দেওয়ায় বন্দরনগরীর জন্য কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেয়রের এই বক্তব্যের পর সারা দেশেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পর দিন মেয়রের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ জন্য মেয়রকে সাতদিন সময় দেওয়া হয়।
আজকের সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘মেয়রের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় সরকারের মন্ত্রণালয় অভিযোগ প্রমাণের জন্য সাতদিন সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দেওয়া একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে হেয় করার শামিল। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রাম নগরীর ৬০ লাখ মানুষের অভিভাবক।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি সৌজন্যবহির্ভূত উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, মেয়র যা বলেছেন অপ্রিয় সত্য হতে পারে কিন্তু কোনোভাবেই অগ্রহণযোগ্য নয়। মনে রাখা উচিত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সরকারের অংশ।
চসিক কাউন্সিলরদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করে সংরক্ষিত কাউন্সিলর আবিদা আজাদ বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা কাউন্সিলররা একযোগে পদত্যাগ করব, তবু দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’
সংগঠনের সভাপতি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ক্রীড়া সংগঠক আলহাজ আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শেখ মাহমুদ ইসহাক, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মুজিবুল হক, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য প্রকৌশলী বিজয় কিষান চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি ড. মাহমুদ হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্য ভাষা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিনবোধি ভিক্ষু, উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি অধ্যাপিকা রেখা আলম চৌধুরী, অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুল হক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আব্দুল মান্নান ফেরদৌস, চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চাক্তাই শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসাইন, পাহাড়তলী ট্রেড অ্যান্ড কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব শেখ রাজীব আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অরুণ চন্দ্র বণিক, অনুপ বিশ্বাস, সাইফুল আলম বাবু, ছড়াকার সংসদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম মুদাচ্ছের আলী, শ্রমিক নেতা আবদুল মতিন মাস্টার, চট্টগ্রাম হকার্স ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম লেদু, নগর যুবলীগের সদস্য সুমন দেবনাথ, জাবেদুল আলম সুমন, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, তানভীর আহমেদ রিংকু, সাখাওয়াত হোসেন সাকু, এ এম মহিউদ্দিন, শহীদুর রহমান শহীদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু প্রমুখ।