‘জেএমবি সদস্য’ আনোয়ারের লাশ নেয়নি পরিবার
রাজশাহীর বাগমারায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ‘জেএমবি সদস্য’ আনোয়ারের লাশ নিতে রাজি হননি তাঁর মা শুরুজ্জান বেওয়া। ফলে বেওয়ারিশ চার দিন পর আনোয়ারের লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হেতেম খাঁ কবরস্থানে দাফন করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সংগঠক এনায়েত কবির মিলন বলেন, বেওয়ারিশ হিসেবেই পুলিশ তাঁদের কাছে আনোয়ারের লাশ হস্তান্তর করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশ বুঝে নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে।
গত শনিবার রাতে রাজশাহীর বাগমারায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক নিহত হন। মঙ্গলবার দুপুরে ছবি দেখে আনোয়ারকে শনাক্ত করেন তাঁর মা শুরুজ্জান বেওয়া ও তাঁর ১৩ বছর বয়সী মেয়ে।
নিহত আনোয়ার হোসেন ওরফে নাইম নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের উত্তর পারইল গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে।
বাগমারা থানার পরির্দশক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আনোয়ারের মা শুরুজ্জান বেওয়া ছেলের লাশ নিতে রাজি না হওয়ায় বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হয়। আজ দুপুরে সংগঠনটি রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে লাশ বুঝে নেন। পরে তাঁরা লাশ নিয়ে গিয়ে দাফন করেন।’
পরির্দশক আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে আনোয়ারের বাড়িতে গিয়ে লাশ গ্রহণ করার জন্য তাঁর মা শুরুজ্জানকে কয়েকবার অনুরোধ করেছেন। এমনকি লাশ বাড়িতে পৌঁছে দিতেও চেয়েছেন। কিন্তু ছেলে জেএমবির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় তিনি চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন, লাশ গ্রহণ করতে রাজি হননি।