ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা কাটেনি, লঞ্চ চালু
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পর্যন্ত নৌপথে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা কাটেনি। দৌলতদিয়ার শুধু একটি ঘাট দিয়ে ছোট-মাঝারি পাঁচটি ফেরিতে জরুরিভাবে পারাপার করা হচ্ছে হালকা যানবাহন ও যাত্রীদের।
তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়ার চারটি ঘাটই গত রোববার সকালে ভাঙনের কবলে পড়ে। এ কারণে এ নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে একটি ঘাট মেরামত করে শুধু ছোট ফেরি দিয়ে হালকা যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর মঙ্গলবার রাতে দৌলতদিয়ার আরো দুটি ঘাট মেরামত করা হলে ১৮টির মধ্যে দুটি ইউটিলিটি ও দুটি কে-টাইপ ফেরিতে হালকা যানবাহন পারাপার শুরু করা হয়। তবে চলাচলের দুই ঘণ্টা পরে তীব্র স্রোতের কারণে ঘাটে ফেরি ভিড়তে না পারায় আবারও ২ নম্বর ঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রো রো (বড়) ফেরি চলাচল শুরু না হওয়ায় পর্যন্ত বাস-ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান জানান, দৌলতদিয়ার ২ নম্বর ঘাটে স্রোত বেশি থাকায় ছোট ও মাঝারি ফেরি ভিড়তে পারছে না। সংস্কারের জন্য বুধবার রাতে ৩ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে শুধু ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরিতে ওঠানামা করছে হালকা যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রবল বাতাসে নদীতে প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়।
এই ঢেউ ও তীব্র স্রোতে দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ফের লঞ্চ চালু করা হয়।