টানা বর্ষণে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা বর্ষণে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সাত হাজার মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া তিন হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন, বীজতলা ও সবজিক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা পৌর এলাকার কামাননগর, কাটিয়া, বদ্যিপুর ও কুখরালি এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে তালা উপজেলার দোহার, বারুইহাটি, জালালপুর, আটুলিয়া, খলিলনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্রামে পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া তালা উপজেলা সদর পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে।
এদিকে কপোতাক্ষের জোয়ারের সঙ্গে বৃষ্টির পানির চাপে শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন ইউনিয়ন গাবুরার কালীবাড়ীর মন্দিরের পাশ থেকে দেড়শ ফুট রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেখানে ভাঙন রোধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আজম টিটো চার শতাধিক শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন।
অন্যদিকে মুসলিমনগর থেকে নাপিতখালি পর্যন্ত ৩০০ ফুট এলাকা এবং চৌদ্দরশি বাজার থেকে স্লুইসগেট পর্যন্ত রাস্তার ইট পানিতে ধসে যাওয়ায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে। সেখানে ভাঙনরোধে গ্রামবাসী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, তিন হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন, বীজতলা ও সবজিক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বিরামহীন বৃষ্টিতে জেলার সব উপজেলার মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। জেলা মৎস্য অফিস কর্মকর্তা মো. তাবারুক উল্লাহ জানান, সাত হাজার মাছের ঘের উপচে কমপক্ষে দশ কোটি টাকার মাছ বেরিয়ে গেছে। একইভাবে কাঁকড়া খামারগুলি থেকেও কাঁকড়া উঠে গেছে। বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা প্রদ্যুত কুমার।