ছেলে গিয়ে দেখল, মায়ের লাশ ঝুলছে
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাফিজা বানুর (৪৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরের মুরারিকাঠির বাড়ির ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পরিবারের সদস্যরা।
রাফিজা খাতুনের স্বামী কলারোয়া সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব জানান, সোমবার সকালে বাড়ির অন্য সবার মতো তিনিও স্কুলে চলে যান। দুপুর ১২টার দিকে ‘সকালে খেয়ে আসেননি’ শিক্ষকদের এমন খবর জানিয়ে রাফিজা স্কুল থেকে আগেভাগে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যান। এরপর দুপুর ২টার দিকে তাঁর ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র রাফাত বাড়ি ফিরে তার মাকে একটি কক্ষের সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে সবাইকে খবর দেয়।
রাফিজার দুই ছেলেমেয়ের অপরজন রিনি খাতুন স্থানীয় লোহাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
স্বামী আবদুর রব, বাড়ির অন্য সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান, রাফিজা বানু অজ্ঞাত কারণে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। এ জন্য তাঁর প্রতি বিশেষ নজরও রাখা হতো। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ কী তা এখনো জানা যায়নি।
অপরদিকে এটি আত্মহত্যা না হত্যা সে বিষয়েও পুলিশ কিছু বলতে পারছে না।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মো. মাসুদ করিম জানান, রাফিজা বানুর লাশ এখনো কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।