পানি কমলেও হাজারো মানুষ দুর্ভোগে
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমলে এখনো হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। আয়-রোজগার না থাকায় বন্যায় ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য সরকারের প্রতি আর্থিক সহায়তা দাবি করেছেন বানভানি মানুষেরা।
আজ শুক্রবার জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণসহায়তা অব্যাহত থাকলেও অনেক মানুষ এখনো পায়নি কোনো ত্রাণসামগ্রী। তাঁদের দাবি, প্রকৃত বানভাসিদের চিহ্নিত করে ত্রাণ দেওয়া উচিত।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত তিন সপ্তাহে সিরাজগঞ্জে বন্যা শুরু হয়েছে। বন্যায় জেলার কয়েক লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যার শুরুতেই ত্রাণতৎপরতা শুরু না হলেও এক সপ্তাহ ধরে জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ২৮ লাখ টাকা, ৭৮৮ টন চাল ও প্রায় দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
পানি কমতে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে। কাঁচা ঘরগুলো ভেঙে গেছে। বানভাসি মানুষের কর্ম না থাকায় ঘর মেরামত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। আবার এখনো ওয়াপদা বাঁধে গরু-ছাগল নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরি, শাহজাদপুর উপজেলার কৌজুরী ও চৌহালী উপজেলার গোড়জান ও এনায়েতপুরে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙছে এসব অঞ্চলের ফসলি জমি।
অন্যদিকে জেলার অভ্যন্তরে করতোয়া, ফুলজোর, হুরা সাগর ও চলন বিলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ভেসে যাচ্ছে এসব এলাকার শত শত পুকুরের মাছ।