বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, আহত ৫
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বোয়ালমারীতে মোকছেদ শেখ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শিশুসহ আহত হয়েছে পাঁচজন। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মোকছেদ শেখের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন নাজির হোসেন (১৫) ও খাদিজা বেগম (৩০)। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক জুয়েল শেখকে (১৫) রেনিনগর গ্রামের রইস শেখের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগম ও ছেলে মো. ইমরান শেখ অভিযোগ করেন, গত সোমবার মোকছেদ শেখের ভাতিজা রবিউল শেখ (২২) তাঁর বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ময়না খালে নৌকা ভ্রমণ ও পিকনিকের উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে পাশের রেনিনগর গ্রামের রইসের বাড়ির সামনে খালের ওপর নিচু সাঁকোর একটি অংশ খুলে পার হওয়ার সময় একই গ্রামের সাগর শেখের ছেলে মনিরের (১৭) সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। মনির ওই সময় সাঁকো পার হচ্ছিল। এ ঘটনার জের ধরে রেনিনগর গ্রামের সাগর শেখ, মঞ্জু শেখ ও রইস শেখের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকস্মিক মোকছেদ শেখের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তিনি ঘরের ভেতর অবস্থান করছিলেন। ঘরে ঢুকে হামলাকারীরা তাঁকে কিল-ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে পাড়াতে থাকে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ সময় প্রতিবেশী হালিম শেখকেও বেধড়ক পিটিয়ে তাঁর ঘরে থাকা তিন লাখ টাকা এবং ২০ মণ ধান লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হালিম শেখ অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে পাটক্ষেতে গেলে সাগর শেখ ও মান্নানের লোকজন তাঁর ছেলে কাইয়ুমকে (২০) মারধর করে। তিনি রবিউল ও মনিরের হাতাহাতির ঘটনার জের ধরে বুধবার এ হামলা হয় বলে জানান।
বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। নিহতের শরীরে বাইরে থেকে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘটনার পর থেকে রেনিনগর গ্রামে সাগরসহ অনেকেই বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।