প্রবাসীকে হত্যার হুমকি দিয়ে সাতক্ষীরায় মায়ের কাছে চিঠি
জিহাদুল ইসলাম পার্টি পরিচয় দিয়ে চিঠির মাধ্যমে এক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জাকির হোসেন নামের ওই প্রবাসী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের বাসিন্দা। চলতি মাসে ওই জাতপুর গ্রামে জাকিরের মায়ের হাতে ওই চিঠি আসে।
জাকির হোসেন বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বাস করছেন। জাকিরের মা বৃদ্ধা মমতাজ বেগম তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
কুরিয়ার যোগে এই চিঠি পৌঁছানোর পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জাকিরের মা মমতাজ বেগম ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। চিঠিটা হাতে পেয়ে তাঁরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। চিঠিতে তারিখ লেখা গত ১৭ জুলাই। মমতাজ বেগমের হাতে তা পৌঁছে অনেক পরে। তিনি প্রথমে সেটি ভয়ে চেপে রাখেন। পরে পুলিশকে বলেন । অবশেষে তালা থানায় জিডি করেছেন মমতাজ বেগম। পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
চিঠিতে লেখা আছে, ‘তুই অনেক ক্ষতি করেছিস আমাদের । এখন কেন পালিয়ে থাকিস। তোকে আমরা কেটে টুকরো টুকরো করে হাত পা মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলব। তুই এক মাসের মধ্যে দেখা করবি।’
জাকির হোসেনের মা মমতাজ বেগম জানান, ১৩ বছর আগে জাকির হোসেন মালয়েশিয়া যান। সেখান থেকে পাঁচ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া যান এবং বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। প্রবাসী হওয়ার আগে বা পরে কোনো ব্যক্তির সাথে জাকির হোসেনের বিরোধ বা শত্রুতা ছিল না বলে জানান মমতাজ বেগম।
মমতাজ বেগম জানান, গত ১৭ জুলাই জিহাদুল ইসলাম পার্টি বাংলাদেশ ১৪৫/৩ মির্জাপুর রোড, খুলনা পরিচয়ে কমপিউটারে চিঠিটি লেখা হয়েছে। নিচে লেখা রয়েছে ফেরদৌস আরা বেগম, প্রযত্নে জুলফিকার আলী, সাং- তালতলা, সাতক্ষীরা সদর। সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন নম্বরও দেওয়া হয়। চিঠিটি সেন্ট্রাল কুরিয়ার সার্ভিস পাটকেলঘাটা শাখার মাধ্যমে জাকির হোসেনের ভাই নাজিম বিশ্বাসের হাতে আসে। এতে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রবাসী জাকির হোসেনকে জিহাদুল ইসলাম পার্টির সাথে দেখা করতে বলা হয়। না হলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া চিঠিতে গালিগালাজ করে হুমকি দেওয়া হয়।
জিডিতে এসব কথা উল্লেখ করেন মমতাজ বেগম।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সগির মিয়া জানান, তিনি চিঠিটি হাতে পেয়েছেন । এ বিষয়ে তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। চিঠিতে যে মোবাইল ফোন নম্বরটি দেওয়া হয়েছে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, বিষয়টির প্রতি পুলিশ নজর রেখেছে।