পাহাড়ের উন্নয়নে অসহযোগিতার অভিযোগ দীপংকরের
‘পাহাড়ে সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম শুরু করা দরকার, সরকার দীর্ঘদিন থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে এলেও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের অসহযোগিতার কারণে এ কর্মসূচি শুরু করা যায়নি।’
এমন অভিযোগ করে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এ ধরনের নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করে উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘শুধু বনায়ন নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে অসহযোগিতার কারণে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
পার্বত্য শহর রাঙামাটিতে আজ মঙ্গলবার শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৬-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দীপংকর তালুকদার। এর আগে তিনি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সবুজ চত্বরে বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন। ‘জীবিকার জন্য গাছ, জীবনের জন্য গাছ’- এই স্লোগানে এবং ‘অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান’- প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে এ বৃক্ষমেলা হচ্ছে।
এ উপলক্ষে সকালে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি পৌরসভা চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রা শেষে অতিথিরা রাঙামাটি সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন।
পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এম আব্দুল আলী মঞ্চে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সামসুল আজম, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. স্নেহকান্তি চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রমনী কান্তি চাকমা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে তিনটি গাছ লাগাতে হবে। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, ফলে দেশে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। মেলায় ফলদ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা বিক্রয় হচ্ছে।