ফরিদপুরে পদ্মার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে
পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ ও মধুমতিবেষ্টিত ফরিদপুরের চারটি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে পদ্মার পানি গতকাল সোমবারের চেয়ে ৬ সেন্টিমিটার কমে আজ মঙ্গলবার বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানিতে ভেসে গেছে অসংখ্য পাটগাছসহ ব্যবহার্য আসবাব। জেলার সদর, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদরপুর এলাকার প্রায় ২০ হাজার পরিবারের দুই লক্ষাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিতরা বেড়িবাঁধ, সড়কের ওপরসহ উঁচু জায়গায় অবস্থান করছে।
চরভদ্রাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা সিদ্দিকা জানান, জেলার চরভদ্রাসনে বন্যায় পানিতে পড়ে মারা গেছেন এক বৃদ্ধ ও এক শিশু। তাদের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ও পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদানে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ায় ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
জেলার বিভিন্ন চরের অধিকাংশ এলাকা পদ্মার পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সরদার সরাফত আলী।
সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জরুরি সভায় জানানো হয়, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার ৭৭৫ পানিবন্দি পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, তেল, মোমবাতি ও দিয়াশলাই দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্তদের সরবরাহ করা হবে।