ফরিদপুরে বাঁধ ভেঙে ১৫ এলাকা প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁসহ সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ফরিদপুর জেলার তিনটি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ জায়গা তলিয়ে গেছে।
এদিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের পদ্মা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন করে আরো অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে নতুন করে আরো অন্তত ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে এ বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, আকস্মিকভাবে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্তরা যে যা পেরেছে নিয়ে বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। ফসলসহ বাড়িঘরের আসবাবপত্র ভেসে গেছে পানিতে। চোখের সামনে সহায় সম্বল ভেসে যেতে দেখে দিশেহারা মানুষ।
অপরদিকে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে রয়েছে। অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বৃদ্ধ আর শিশুরা।
এবারের বন্যায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ বানভাসী মানুষের হাতে পৌঁছায়নি ত্রাণ।অনেকে রয়েছে অনাহারে ও অর্ধাহারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্যার্ত এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। এদিকে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধ রয়েছে হুমকির মুখে। জেলার ২৮টি স্কুল বন্ধ রেখেছে জেলা শিক্ষা কার্যালয়।