জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া ৪০ আইডি বন্ধ করেছে ফেসবুক
ধর্মীয় অপব্যাখ্যা এবং জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ৮০টি আইডির মধ্যে ৪০টি বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এ কথা বলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে পাঠানো সন্দেহজনক বাকি সাইট দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া সামাজিক সব যোগাযোগমাধ্যমের ওপর বিটিআরসির কড়া নজরদারি রয়েছে বলেও জানান ড. শাহজাহান।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের কাছে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয় উদ্বেগ। আর এ সুযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলার আগাম গুজব ছড়ায় একটি মহল। তবে এসব গুজবে বিভ্রান্ত না হতে সম্প্রতি পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা পুলিশ, আমাদের কাউন্টার টেররিজম পুলিশ, আমরা কাজ করছি : কোন সব ওয়েবসাইট, কোন সব ফেসবুক থেকে, কোন সব টেলিফোন নম্বর থেকে এ ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে, গুজব রটানো হচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া ফেসবুকের ৮০ আইডি এবং ৩০টি ওয়েবপেজ বন্ধের জন্য বিটিআরসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে। বিটিআরসি সেই অনুরোধ পাঠিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে। তার অর্ধেক এরই মধ্যে বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) যেখান থেকে ঢোকে বাংলাদেশে, ওখান থেকে আমরা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করি। এবং একই সময়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকেও লিখি, যাতে শুধু দেশের ভেতরে বন্ধ না করে, পৃথিবীর সব জায়গায় যেখানে যেখানে ফেসবুক আছে, সেখানে সেখানে কনটেন্টগুলা তুলে নেওয়া হয়। অল্প সময়ের মধ্যে তারা আমাদের অনুরোধটা রক্ষা করে।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, শুধু ফেসবুক নয়, ভাইবার-টুইটার-হোয়াটসঅ্যাপসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিটিআরসির সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।
ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া আছে, যেগুলো আমরা অনবরত নজরদারির চেষ্টা করি। এবং ওটা বন্ধ করার চেষ্টা করি। আমরা কিন্তু পলিটিক্যাল বডি না, আমরা হচ্ছি একটা টেকনিক্যাল বডি, ফেসবুকের কোনো অ্যাকাউন্টে খারাপ জিনিস আছে কি না বা আপত্তিকর জিনিস আছে কি না, সেটা কিন্তু আমরা বিচার করি না। ওপর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা তথ্য মন্ত্রণালয় ওরা আমাদের জানায়, তখন আমরা ওইটার ওপর অ্যাকশন নিই।’
পাশাপাশি ফেসবুকে বিতর্কিত কোনো বিষয়ের ওপর মন্তব্য, শেয়ার কিংবা পোস্ট করা থেকে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।