কারারক্ষী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, সাংবাদিকদের মারধর তদন্তে কমিটি
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে কারারক্ষী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত আইজি প্রিজন কর্নেল ইকবাল হাসানকে প্রধান করে আইজি প্রিজন আজ শুক্রবার এ কমিটি গঠন করে দেন। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিলেটের ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জোনের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল ও কাশিমপুর কারাগারের জেলার তারিকুল ইসলাম।
ডিআইজি প্রিজন মো. তৌহিদুল ইসলাম গতকাল জানান, হিরণ মাহমুদ নিপু মারামারির একটি মামলায় আদালতে জামিন পান। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁকে নিতে কারাফটকে যান নিপুর সমর্থকরা। নিপুকে মুক্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় তাঁরা ফটকে হামলার চেষ্টা চালান। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ধাওয়া দেন কারারক্ষীরা। এ সময় ছাত্রলীগকর্মীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে কমপক্ষে ১৫ কারারক্ষী আহত হন।
পরে কারারক্ষীরা কারাগারের সামনে রাখা ৩৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় ছবি তুলতে গেলে কারারক্ষীরা পাঁচ ফটোসাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তাঁদের ক্যামেরা ভাঙচুর এবং তিনটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যান। দুই ফটোসাংবাদিকের মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
আহত ফটোসাংবাদিকরা হলেন প্রথম আলোর আনিস মাহমুদ, সমকালের ইউসুফ আলী, সকালের খবরের শহীদুল ইসলাম, দৈনিক যুগভেরীর মামুন আহমেদ ও দিপু। তাঁদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। আসামিদের অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলা ও কারারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর ঘটনায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু পক্ষের আট নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহসভাপতি হোসাইন আহমদ চৌধুরী, শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক মওদুদ আহমদ আকাশ, উপগ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ফাইয়াজ আহমদ জামিল, সহসম্পাদক মাসুম আহমদ মাহি, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দেলওয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ছয়েফ আহমদ ও এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ দাস।