বৈশাখের স্মরণিকায় ‘আপত্তিকর’ লেখা, স্কুলশিক্ষক আটক

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত স্মরণিকায় ‘আপত্তিকর’ লেখার অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া স্মরণিকা ‘বিশাখা’ থেকে লেখাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পাশাপাশি এর সব কপি বাজেয়াপ্ত করে এটি বিক্রয়, বিপণন, প্রচার ও উপহার দেওয়া নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ শেখ এনটিভি অনলাইনকে জানান, স্কুলশিক্ষক জাহিদুর রহমানকে দুপুর ৩টার দিকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে। তিনি সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মশাসন গ্রামের আবদুর রশীদের ছেলে। জেলা শহরে একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে জাহিদুর চাকরি করেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মহসীন আলী এনটিভি অনলাইনকে জানান, স্মরণিকায় জাহিদুর রহমান ‘বাঙালির নববর্ষ উদযাপন’ শীর্ষক লেখায় একাধিক অনুচ্ছেদে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে উসকানিমূলক, আপত্তিকর এবং অসত্য তথ্য দেওয়ায় জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান লেখাটি প্রত্যাহার করেন।
জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, লেখক জাহিদুর রহমানকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, স্মরণিকা ‘বিশাখা’ বের করার জন্য জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কবি পল্টু বাসারকে আহ্বায়ক করে একটি প্রকাশনা পরিষদ গঠন করা হয়। এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হেনরি সরদার, আবু আফফান রোজ বাবু ও মনিরুজ্জামান ছোট্টু। গতকাল মঙ্গলবার ‘বিশাখা’ বের হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরো জানান, ‘বিশাখা’ সম্পাদক পল্টু বাসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অসাবধানতাবশত লেখাটি ছাপা হওয়ায় স্মরণিকার সম্পাদক দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বুধবার সকালে জাহিদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি’ বলে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘শিক্ষক জাহিদুর রহমান জরুরি কাজের কথা বলে আজ সকালে ছুটি নিয়েছেন। তিনি স্কুলে আসেননি।’