বর্ষবরণে যৌন হেনস্তা, ‘ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা’

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এসে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন কয়েকজন নারী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ জন যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলী জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
যৌন হেনস্তা ঠেকাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দী। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘টিএসসির উল্টোপাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাই, ২৫-৩০ জন যুবক মিলে তিন নারীকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছে। তারা নারীদের শাড়ি ধরেও টান দিচ্ছিল। আর কেউ কেউ শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের উদ্ধার করতে গেলে ওই যুবকরা আমার ওপর চড়াও হয়। তাদের ধাক্কাধাক্কিতে আমি পড়ে যাই। যুবকরা ওই নারীদেরও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।’ দুর্বৃত্তদের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে ডান হাত ভেঙে যায় লিটন নন্দীর। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।
লিটন নন্দী দাবি করেন, নারীদের হয়রানি করার সময় শুধু বহিরাগতরাই ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ছিল। তবে তিনি ভিড়ের মধ্যে তাদের শনাক্ত করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
টিএসসি এলাকার একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ওই যুবকরা ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নারীকে হয়রানি করেছে। তখন পুলিশ কয়েক দফা লাঠিপেটা করলেও ওই যুবকরা স্থান ত্যাগ করেনি।
ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্রজোট এই হামলার নিন্দা এবং জড়িতদের প্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, ‘পুলিশকে বলা হয়েছে, জড়িতদের খুঁজে বের করতে। এ ঘটনায় জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী কয়েকটা থানায় ফুটেজ দেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলেছিলাম, বিকেল ৪টার মধ্যে উদ্যানের গেট বন্ধ করে দিতে। কিন্তু সেটা করা হয়নি।’