নোয়াখালীতে কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে অবরোধ-মানববন্ধন
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এবং সরকারীকরণের দাবিতে মিছিল, রাস্তা অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন চরজব্বার ডিগ্রি কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাঁরা কলেজের আশপাশের একাধিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে দীর্ঘ মানববন্ধনও করেন তাঁরা। মানববন্ধনে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কমিটি যাচাই-বাছাই করে বেসরকারি ৩২৫টি কলেজ সরকারীকরণের জন্য নির্ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠায়। তা থেকে প্রথম পর্যায়ে ১৯৯টি কলেজের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুমোদন করে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। সে তালিকায় উপজেলা প্রশাসনিক নীতিমালা অনুযায়ী চরজব্বার ডিগ্রি কলেজ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ওই অন্তর্ভুক্তির ঘোষণার পর এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই কলেজগুলোর যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। ৯ জুলাই চরজব্বার ডিগ্রি কলেজকে উপজেলা হেডকোয়ার্টার কলেজ হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয়করণের জন্য সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠিও দেন। ১১ জুলাই চিঠিটি গ্রহণ করা হয়।
পরে জেলা শিক্ষা অফিসার (মাধ্যমিক) যাবতীয় তথ্য-উপাত্তসহ সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ডিগ্রি কলেজ ও সৈকত ডিগ্রি কলেজের নাম তালিকার জন্য পাঠান।
কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে নিয়ম না মেনেই সৈকত ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণ করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যায়। ১৭ জুলাই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে প্রকাশিত হয়, চরজব্বার ডিগ্রি কলেজের জায়গায় সৈকত ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণ করা হচ্ছে।
আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে চরজব্বার ডিগ্রি কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকরা এ প্রতিবাদে শামিল হন।
মানববন্ধনে বক্তারা চরজব্বার ডিগ্রি কলেজটি জাতীয়করণ সিদ্ধান্ত বহাল রাখা ও দ্রুত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।