পাবনায় আ.লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
পাবনার বেড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই বছরের এক শিশু ও পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুটি গুলি ও একটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুরানভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. রফিক উল্লাহ এবং স্থানীয় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শাহানুর হোসেন ওরফে ছানু মাতবরের মধ্যে নগরবাড়ি ঘাটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় এলাকায় সন্ত্রাসীরা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই জের ধরে আজ দুপুর ১২টার দিকে ইমান শেখ, শাজাহান ও জিলালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা শাহানুর হোসেন ওরফে ছানু মাতবরের সমর্থক রঘুনাথপুর গ্রামের আফতাব শেখ এবং প্রতাপপুর গ্রামের এমদাদুল হক তোতার বাড়িতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের সমর্থকরা গ্রামে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আবুল হাশেম (৪২), মুরাদ চৌধুরী (৪৫), বিপ্লব (২২) ও সাইফুলের (৩০) অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া সংঘর্ষের পৃথক ঘটনায় সময় বিলাল শেখের শিশুকন্যা রুশনার (২) গায়ে দায়ের কোপ লাগে।
খবর পেয়ে আমিনপুর থানা ও নগরবাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শটগানের দুটি গুলি ও একটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সংঘর্ষকারীদের অস্ত্রের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল ফারুক হোসেনের মাথায় আঘাত লাগে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাঁকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএম তাজুল হুদা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।