অনেক আলো জ্বালাতে হবে

পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশু রঙিন পোশাকে এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শোভাযাত্রা শুরু হয়, এটি রূপসী বাংলা হোটেলের মোড় থেকে আবারো চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়।
ঢাক-ঢোল-বাঁশি বাজিয়ে, ফুল-লতাপাতা গায়ে জড়িয়ে সব বয়সী মেতে ওঠেন আনন্দযজ্ঞে। সবার হাতে রয়েছে দোতারা, কলস, মাটির তৈরি নানা জিনিসপত্র।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, থাইল্যান্ডের সংস্কৃতিমন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। রয়েছেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উৎসুক জনতা। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল বিষয় ‘অনেক আলো জ্বালাতে হবে মনের অন্ধকারে’। প্রায় ৫০টি মোটিফ নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রায় রয়েছে কবুতর ও মাছের প্রতিকৃতি।
এর আগে বৈশাখের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবারের মতো ছায়ানট বৈশাখের গান দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়, সংগীতশিল্পীসহ উপস্থিত সবাই। এ সময় রমনার বটমূল কানায় কানায় ভর্তি হয়ে ওঠে মানুষের পদচারণায়। শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন আর তা উপভোগ করেন উপস্থিত দর্শক। বৈশাখের লাল-সাদা রঙের পোশাকে সেজেছেন সবাই।
পয়লা বৈশাখ উদযাপনে রাজধানীতে বর্ষবরণের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি সর্বজনীন উৎসব হয়ে উঠেছে। প্রায় তিন দশক হয়ে গেল শৈল্পিক এই আয়োজনের। উৎসব চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা ও ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবরে।
প্রায় ৫০০ বছর আগে মোগলসম্রাট আকবর রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য যে সালের প্রবর্তন করেছিলেন, তাই এখন বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে।