সচিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের তালা
চেয়ারম্যান ও সচিবের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি কার্যালয় সহায়ক আবদুল খালেক গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ জন্য আজ বুধবার দুপুরে বিভিন্ন সেবা নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ইউপির নারী সদস্য ম্যাসা থুই মারমা ও রিনা বেগম বলেন, ইউপি কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের অনেক লোকজন বয়স্কভাতা, জন্মনিবন্ধন সনদ, ইউপি সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার জন্য কার্যালয়ে এলেও তাঁরা সেবা পাননি।
একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে একজন চেয়ারম্যান কী করে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন তা তাদের বোধগম্য হচ্ছে না বলেও জানান দুই সদস্য। তাঁরা অভিযোগ করেন, টোল ট্যাক্সের প্রায় সাত লাখ টাকা জুনের মধ্যে ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত জমা দেননি চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান রাংলাই ম্রো অনিয়মিত অফিস করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
ইউপি কার্যালয় সহায়ক মো. আবদুল খালেদ বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে গতকাল বিকেলে কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কার্যালয়ের চাবি সচিবসহ অন্য কাউকে না দেওয়ার নির্দেশও দেন চেয়ারম্যান।
ইউপি সচিব মিলন চক্রবর্তী বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অন্যত্র বদলি করিয়েছেন।’
ইউপি চেয়ারম্যান রাংলাই ম্রো মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশে ইউপি কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। সচিবের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে, তাই তাঁকে বদলি করা হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ইউপি সচিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে চেয়ারম্যান সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ইউপি কার্যালয়ে আসা ফারুকপাড়ার বাসিন্দা সিম আং বম ও কাইচতলীর বাসিন্দা আমেনা বেগম জানান, অনেক দূর থেকে অর্থ ও সময় ব্যয় করে তাঁরা জন্মনিবন্ধন সনদ নেওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু কার্যালয় তালাবন্ধ থাকায় তাঁরা সনদ না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। দুবার এসেও সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি।