নারায়ণগঞ্জ জেলা শহর থেকে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত আড়াইহাজার উপজেলায় স্থানান্তরের সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত একই সঙ্গে আড়াইহাজারে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত স্থানান্তর কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর থেকে আদালতটি আড়াইহাজারে স্থানান্তর করতে দুটি গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান ও সম্পাদক মো. হাসান ফেরদৌস বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন।

আজ শুনানি শেষে আদালত সরকারি আদেশ স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন। এতে রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাঁকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী। রুলে আইনসচিব, সহকারী সচিব (বিচার শাখা), নির্বাহী প্রকৌশলী (নারায়ণগঞ্জ) ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কোনো আদালত স্থানান্তর করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি লাগে। মাসদার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলায় এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে (নারায়ণগঞ্জের আদালত স্থানান্তর) এটা মান্য করা হয়নি। সে জন্য হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য স্থানান্তর কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন।’