জামায়াত-শিবির জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে : হানিফ
আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির দেশে একের পর জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ।
আজ বুধবার বিকেলে বাগেরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের আহ্বান’ শীর্ষক কর্মশালায় হানিফ এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আইএস, আলকায়দা ও তালেবান নামে কোনো জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে নেই।’ জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে হলে জামায়াত-শিবির নির্মূল করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হানিফ বলেন, ‘রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে পুরোহিত, ধর্মযাজকসহ সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম দিয়ে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দেশে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামায়াতে ইসলামী এখন আদালতের কাঠগড়ায়। জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের রায়ে দণ্ড ভোগ করেছেন এবং আরো অনেক শীর্ষ নেতার মামলা এখনো বিচারাধীন আছে। এদের বিচার শেষ হওয়ার পর পরই যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ে গোটা বিশ্ব শঙ্কিত। মুসলমান হিসেবে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত। মুসলমানদের দিয়ে মুসলমানদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। হত্যার দায়ভার মুসলিমদের ওপর চাপানো হচ্ছে।’ কর্মশালায় তিনি জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে আলেম সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজমুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ।
ইসলামী ফাউন্ডেশন বাগেরহাট আয়োজিত এই কর্মশালায় জেলার নয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মসজিদের ছয় শতাধিক খতিব, ইমাম ও শিক্ষক অংশ নেন।