রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল ও শাহবাগ থানার তিনটি মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর তিনি হাইকোর্টে প্রবেশ করেন।

মির্জা আব্বাস এখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের কক্ষে অবস্থান করছেন। দুপুর আড়াইটার দিকে তাঁর তিন মামলার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন আদালতে উপস্থিত হয়ে কোর্টের বাইরে তাঁকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার জন্য আদেশ চান। তবে হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, ‘আদালতের বাইরে গ্রেপ্তার বা হয়রানির আশঙ্কায় জামিনের জন্য আমার মক্কেল আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাই তাঁকে যেন বাইরে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করা হয়, এ বিষয়ে আদালতের কাছে একটি আদেশ চাওয়া হয়।’

ওই সময় চত্বরের বাইরের দায়িত্ব তাদের নয় জানিয়ে আদালত বলেন, ‘গেটের ভেতরে প্রবেশ করলেই কেবল মির্জা আব্বাসের দায়িত্ব আমরা নিতে পারব।’ পরে তিন মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আজ বেলা আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করেন আদালত। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্টের বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শামীম আহসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মির্জা আব্বাসের শুনানির জন্য দুপুর আড়াইটায় সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগাম জামিন নিতে হলে আসামিকে আদালতে উপস্থিত হতে হবে। আসামির আইনজীবী কোর্টের বাইরে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার জন্য আদেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত কোনো আদেশ দেননি।

গতকাল রোববার বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে পল্টন, মতিঝিল ও শাহবাগ থানায় তিনটি মামলায় জামিন পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন।

২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের অভিযোগে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। এর আগে একই বছরের ৬ মার্চ প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।

এসব মামলায় আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছেন মির্জা আব্বাস। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য উল্লেখ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা আছে।