রাজশাহীতে ‘অভ্যন্তরীণ’ কোন্দলে যুবলীগকর্মী আহত
নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী মহানগর যুবলীগের নেতা চৌধুরী মুখলেসুর রহমান সুমন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সুমন রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বেসরকারি সিডিএম হাসপাতালের পরিচালক। আহত অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুমন জানান, তিনি নগরীর আলুপট্টি থেকে লক্ষ্মীপুরে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন। পথে সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়-সাতজন গিয়ে তাঁর পথ রোধ করে। এ সময় লোহার রড ও পাইপ দিয়ে অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে তাঁরা। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সুমন জানান, হামলাকারীদের মধ্যে শুধু একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তিনি মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অলোক দাশগুপ্ত। বাকিদের তিনি চিনতে পারেননি।
যুবলীগ নেতা বলেন, কিছুদিন আগে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এ কমিটিতে অলোক দাশগুপ্তের সাংগঠনিক সম্পাদক পদটি সুমনকে দেওয়ার জন্য দলের ভেতর একটি গুঞ্জন চলছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে সরিয়ে দিতে অলোক তাঁর ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবলীগ নেতা অলোক দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, সুমন তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসাতে চাইছে। আর এ জন্য হামলাকারী হিসেবে তাঁর নাম বলা হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তিনি রাজশাহীর বাইরে আছেন। রাজশাহী ফেরার পর খোঁজখবর নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, আহত সুমনের সঙ্গে কথা বলতে সকালে তিনি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। সুমন থানায় মামলা করতে চেয়েছেন। মামলা হলে এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।