জঙ্গি হামলার অন্তরালে কারা, বের হবে : র্যাব
রাজধানীর গুলশানে ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যুবকদের হাতে যারা অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে তাদের সন্ধানে কাজ করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ সংস্থাটির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র জঙ্গিরা হামলা চালায়। হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রথম পদক্ষেপেই নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা এবং আহত হন অর্ধশতাধিক।
জঙ্গিরা রেস্তোরাঁয় থাকা ২০ দেশি-বিদেশি নাগরিককে হত্যা করে। পরদিন পুলিশের উদ্ধার অভিযানের সময় ছয় হামলাকারী নিহত হয়। এ ঘটনার দায় মধ্য প্রাচ্যের তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করেছে বলে জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্ট।
এ হামলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঈদের দিন দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহ মাঠের অদূরে পুলিশের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ সদস্য ও এক হিন্দু গৃহবধূ নিহত হন। এ সময় এক জঙ্গিও মারা যায়।
গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশবাসী আতঙ্কিত জানিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সব রকম নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জঙ্গিবাদের ধারণা দেশের বাইরে থেকে এলেও হামলাকারীরা এ দেশীয়। আর তাদের মদদদাতাদের ধরতে কাজ করছে র্যাব।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘যে কোনো টেররিস্ট ঘটনার পর্দার আড়ালে কারা সেটি তো অবশ্যই খুঁজে বের করা প্রয়োজন। সেটি খুঁজে না বের করা পর্যন্ত একে থামানো যায় না। এর ফাইনান্স করা করে, পর্দার আড়ালে কারা- তাদের তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে।’
এ ছাড়া যেসব যুবক পরিবার ছেড়ে পলাতক রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করার কাজও করা হচ্ছে বলে জানান র্যাব মহাপরিচালক।
এর আগে তথ্য দিয়ে জঙ্গি সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী এবং অপহরণকারীদের ধরতে সহযোগিতার জন্য ‘রিপোর্ট-টু-র্যাব’ নামে মোবাইল ফোনের একটি অ্যাপ উদ্বোধন করেন র্যাব মহাপরিচালক।