ঈদ মাটি হলো বন্যায়
সারা দেশের মানুষ যখন ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ তখন ব্যস্ত নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে। বন্যায় ভেসে গেছে তাঁদের অনেকের বসতবাড়ি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চিলমারী উপজেলার শাখাহাতির চর, মুদাফত কালিকাপুর চর, পত্রখাতার চর, ফেসকার চরসহ অর্ধশতাধিক চর ও দ্বীপচর প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা এবং কলাগাছের ভেলায় যাতায়াত করছেন তাঁরা।
এ অবস্থায় পবিত্র ঈদুল ফিতরে বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। তলিয়ে গেছে চর ও দ্বীপচরের পটোল, ঝিঙে, সাতপুতি, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলা, দুধকুমারসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।