ফরিদপুরে তিনজনের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুর সদর, বোয়ালমারী উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে এবং শ্বশুরবাড়ি থেকে এক জামাতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পৃথক ঘটনায় তাঁদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটি কানাইপুর এলাকা থেকে রাকিব হোসেনের (৩২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে হাটগোবিন্দপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি রাকিব মোটরসাইকেল নিয়ে কানাইপুর যান। পরে রাত ১০টার দিকে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা হয়, কানাইপুর থেকে তিনি বাড়ি ফিরছেন। এরপর তিনি ফিরে না এলে বাড়ির লোকজন রাতভর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি রাকিবকে। আজ সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা ধানক্ষেতে এক ব্যক্তি লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাকিব মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালাতেন বলে জানা যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত এনায়েত হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাকিবকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এদিকে, বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের সুগন্ধি গ্রামের গৃহবধূ জরিনা বেগমকে (৪৫) তাঁর স্বামী জব্বার মাতুব্বর বটি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন ইফতারির সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে জব্বার ঘরে থাকা বটি দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলে স্ত্রী জরিনা বেগমের মৃত্যু হয়। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন থানায় খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রক্ত মাখা বটি উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ছাড়া ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের মাছেম মৃধার বাড়ি থেকে তাঁর মেয়েজামাই মনিরের (৩৫) গলায় ফাসঁ দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। নিহত মনিরের বাড়ি রাজবাড়ীতে।
পুলিশ জানায়, আজ রোববার সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। মনির শ্বশুরবাড়িতে থেকে ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে।