মুক্তিযোদ্ধার জাল সার্টিফিকেটে চাকরি, দুই কনস্টেবল গ্রেপ্তার
জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় পুলিশের চাকরি নেওয়ার প্রায় ১৬ মাস পর দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক কনস্টেবলের বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই কনস্টেবল হলেন মো. সাহিদুজ্জামান (২১) ও কবিরুল ইসলাম (২৩)। তাঁরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রায়ট ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া কনস্টেবল সাহিদুজ্জামানের বাবা আবদুস সালামকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাহিদুজ্জামানের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে। আর কবিরুলের বাড়ি একই উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, সাইদুজ্জামান ও কবিরুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাটে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান। পরে তাঁরা ডিএমপির রায়ট ডিভিশনে যোগ দেন।
পুলিশে নিয়োগে তাঁদের দেওয়া সার্টিফিকেট পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে চলতি বছরের ২৬ জুন তাঁদের দাখিলকৃত সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জয়পুরহাট পুলিশের আর ও আনিছুর রহমান গত ২৭ জুন জয়পুরহাট সদর থানায় দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এরপর ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল ইসলাম ঢাকায় গিয়ে গতকাল শুক্রবার কর্মস্থল থেকে কনস্টেবল সাহিদুজ্জামান ও কবিরুলকে গ্রেপ্তার করে জয়পুরহাট থানায় নিয়ে আসেন।
এ ছাড়া আজ শনিবার পুলিশ জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মির্জাপুর গ্রাম থেকে জাল মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে সাহিদুজ্জামানের বাবা আবদুস সালামকেও গ্রেপ্তার করে।
পরে তিনজনকেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।