নেত্রকোনায় হচ্ছে ১৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম
নেত্রকোনার ক্রীড়ামোদি দর্শকদের আশা পূর্ণ হতে চলেছে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের মাধ্যমে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা এ মাঠে কবে শুরু হবে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল ও ক্রিকেট।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমকে ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। এরপর ডিসেম্বরে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় জেলা শহরের সাতপাই কলেজ রোড এলাকায় আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ হাজার আসন বিশিষ্ট এ স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামটিতে থাকছে ভিভিআইপি গ্যালারি, সাংবাদিকদের জন্য প্রেসবক্স, খেলোয়াড়দের বিশ্রামাগার, অফিস কক্ষ ও রেফারি কক্ষ।
নেত্রকোনার কৃতী সন্তান জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে নির্মাণকাজ। চলতি বছর ডিসেম্বরে এর বাকি কাজ শেষ হবে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
নেত্রকোনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. মো. মুশফিকুর রহমান স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ তদারকিতে গিয়ে বলেন, ‘আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণে দর্শকরা, খেলোয়াড় ও সাংবাদিকদের জন্য যা যা থাকা দরকার আশা করি তার সবই থাকবে।’ তিনি কাজের মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেন। এ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সাইদুর রহমানসহ ক্রীড়া সংস্থার অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নেত্রকোনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জানান, আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে নেত্রকোনার নতুন আধুনিক এই স্টেডিয়ামে জাতীয় মানের বড় ধরনের ফুটবল টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্টেডিয়ামের চারদিকে দোকানঘর ভাড়া দিয়ে আয় করে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার উন্নয়নে লাগানো যায় তারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ হাজি এইচ আর খান পাঠান সাকি বলেন, নেত্রকোনা জেলার ফুটবল ও ক্রিকেট খেলোয়াড় সৃষ্টিতে প্রমাণ রয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশান (বাফুফে) নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি সাইফ খান বিপ্লব জানান, বিগত দিনে নেত্রকোনার ফুটবল খেলোয়াড়রা ঢাকাসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মাঠে খেলা উপহার দিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করেছেন। ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে জেলার সব ফুটবল ক্লাবকে তাদের প্রস্তুতি নিতে এবং নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টিতে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।