মাদারীপুর মহিলা সংস্থার চেয়ারপারসনকে কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা
মাদারীপুর জাতীয় মহিলা সংস্থার নতুন চেয়ারপারসন বেগম ফরিদা হাসান পল্লবী আজ বুধবার তাঁর নিজ কার্যালয়ে ঢোকার সময় বাধার মুখে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদারীপুর জাতীয় মহিলা সংস্থার অপর চেয়ারপারসন প্রার্থী রেহানা পারভীন লিপা ও তাঁর সহকর্মীরা পল্লবীকে বাধা দেন বলে জানা গেছে। পরে তিনি ফিরে যান।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর ৩০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় রেহানা পারভিন লিপাকে চেয়ারপারসন ও নাজমুন নাহার তহমিনা, শাহনাজ পারভীন সীমা, আকলিমা হোসাইন ও ফরিদা হাসান পল্লবীকে সদস্য করার সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রস্তাবিত ওই কমিটি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠায় জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলা প্রশাসক ওই কমিটি অনুমোদনের জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গত ১৬ জুন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা পারভীনের পাঠানো স্মারকে জাতীয় মহিলা সংস্থা মাদারীপুরের চেয়ারপারসন হিসেবে বেগম ফরিদা হাসান পল্লবীকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মহিলা সংস্থার নিয়োগ পেয়ে পল্লবী বুধবার অফিসে আসেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশ করা কমিটির চেয়ারপারসন ও সদস্যরা তাঁকে বাধা দেন। মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান এ সময় রেহানা পারভীনসহ অন্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে যাঁদের নাম পাঠিয়েছি, তাঁদের মনোনয়ন না দিয়ে অন্যদের দেওয়া হয়েছে। এটা কী করে হলো আমাদের জানা নেই। কাজেই আমরা যাদের সদস্য ও চেয়ারপারসন নিয়োগ দিয়েছি, তারা তো বাধা দিতেই পারে।’