লাঠির বিরোধিতাকারীরা জঙ্গিবাদের দোসর
গ্রামে-গঞ্জে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনিরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, লাঠি-বাঁশি কারো বাড়িঘর দখল করার জন্য নয়। যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের দোসর। তাঁরা ভালোটা দেখতে পান না।’
ঝিনাইদহ জেলা শহরের পায়রা চত্বরে আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী এক সমাবেশে ডিআইজি এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী, র্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণসহ অনেকে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান আরো বলেন, ‘আলবদর-রাজাকার জামায়াত-শিবিরের লোকেরা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশপ্রেমিক জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সেই চেষ্টা সফল হতে দেবে না।’
ডিআইজি দেশের বিভিন্ন স্থানে গুপ্তহত্যা ও টার্গেট কিলিংয়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘নিরীহ মানুষকে হত্যা করে যারা রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে চায়, তাদের মোকাবিলা করা হবে। সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করুন।’
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারসহ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা।
সমাবেশ শেষে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর হাতে লাঠি ও বাঁশি তুলে দেন প্রধান অতিথি।
সমাবেশের সভাপতি ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, গুপ্তহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আর একটাও যদি হত্যার ঘটনা ঘটে, তাদের আত্মীয়স্বজনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রক্ষা পাবে না।
এর আগে দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক সভায় বক্তব্য দেন ডিআইজি মনিরুজ্জামান। সেখানে সন্ত্রাস প্রতিরোধে গ্রামবাসীর মধ্যে লাঠি, বাঁশি বিতরণ করেন তিনি।