ট্রেন-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে প্রাণ গেল চারজনের
যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল মথুরাপুর এলাকায় ট্রেনের সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো দুজন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার চাচড়াইল গ্রামের রেজাউল কবীর রাজু (৩৮), সদর উপজেলার তীরেরহাট গ্রামের নিত্যপদ বিশ্বাসের ছেলে চয়ন (১০), একই এলাকার জয়া রানী সরকার (৫২) ও প্রাইভেটকারের চালক কেশবপুর উপজেলার বাইশা গ্রামের মো. হাকিম (৩২)।
আহত হয়েছেন দীপিকা রানী সরকার ও বাঁধন নামের দুজন। তাঁদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দীপিকা রানী জানান, তিনি বাবার বাড়ি কেশবপুর থেকে একটি প্রাইভেটকারে যশোর সদর উপজেলার তীরেরহাটে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে সাতমাইল মথুরাপুরে একটি ট্রেনের সঙ্গে তাঁদের প্রাইভেটকারটির সংঘর্ষ হয়।
দীপিকার ভাশুর চিত্তরঞ্জন দাস জানান, দুর্ঘটনায় দীপিকা রানীর ছেলে চয়ন ও মা জয়া রানী সরকার নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নিহত অপর দুজনের মধ্যে রেজাউল কবীর রাজু দীপিকাদের প্রতিবেশী ও সমতা ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) পরিচালক। অপরজন হাকিম প্রাইভেটকারের চালক।
ঘটনাস্থল মথুরাপুরের বাসিন্দা আবদার জানান, মাইক্রোবাসটি যেখান দিয়ে ট্রেনলাইন পার হচ্ছিল, সেখানে কোনো গেট বা গেটম্যান নেই। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী চিত্রা নামের ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এরপর স্থানীয়রা হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
যশোর রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) এটিএসআই আজগর আলী জানান, ঢাকাগামী চিত্রা ট্রেনটি যশোর স্টেশন থেকে বেলা ১১টায় ছেড়ে যায়। এর ২০ মিনিটর পরই মথুরাপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কল্লোল কুমার সাহা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আরেকজনের মৃত্যু হয়।