‘মন পরিষ্কার করে নেমেছি’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আনিসুল হক বলেছেন, তিনি মন পরিষ্কার করে সময় নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। তিনি যেন সবার সঙ্গে কাজ করতে পারেন, এ জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আনিসুল হক।
আজ থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। আনিসুল হক দুপুরে কারওয়ান বাজার এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রুবানা হক। আরো ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য তারানা হালিম, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও উপস্থাপক আবদুন নূর তুষার প্রমুখ।
আনিসুল হক কারওয়ান বাজারের পথচারী, চা বিক্রেতা, ব্যবসায়ী, ভবঘুরেসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের সঙ্গে হাত মেলান এবং নিজের জন্য ভোট চান।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আনিসুল হক জানান, তিনি আজ অনেক ভোরে উঠেছেন। ফজরের নামাজ পড়েছেন। এর পর ৯২ বছরের বাবাকে ঘুম থেকে তুলে তাঁকে সালাম করে দোয়া নিয়েছেন। মায়ের কবর জিয়ারত করেছেন। এর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ গিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এর পর রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, দোয়া করেছেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘আল্লাহকে বলেছি, যে কাজে নেমেছি মন পরিষ্কার করে নেমেছি, সময় হাতে নিয়ে নেমেছি। সমস্ত সততা দিয়ে এ কাজটি করতে চাই। আল্লাহ যেন আমায় সাহায্য করেন, যেন আপনাদের সবার সঙ্গে কাজ করতে পারি।’
নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কী মনে হচ্ছে—সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি কিন্তু রাজনীতি নিয়ে খুব বদার্ড (চিন্তিত) না। রাজনীতি রাজনীতির মতো চলবে। কিন্তু এর সঙ্গে আমার ফোকাস হলো ডেভেলপমেন্ট (উন্নয়ন)। ডেভেলপমেন্ট অব ঢাকা। এর বিভিন্ন রকমের উন্নতি। এখান থেকে যদি রাজনীতির কথা বলতে হয়, আগের থেকে সহজ হয়েছে। সবাই পার্টিসিপেট (অংশ) করছে। ঢাকায় হরতাল নেই। চট্টগ্রামে হরতাল নেই। তার মানে, সবাই চাইছেন ইলেকশনটা হোক। এক ধরনের ভালো পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি মাহী বি. চৌধুরীকে সমর্থন দিতে পারে। তখন কেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘কেউ কাউকে সমর্থন দিতে তো বাধা নেই। আমরা সবাইকে ওয়েলকাম (স্বাগত) করি। না হলে তো ইলেকশনে মজা হবে না। প্রতিযোগিতা হওয়া দরকার।’
গণসংযোগের শুরুর দিন আজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সঙ্গে না থাকার কারণ প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোক ছিলেন। আমার সঙ্গে কর্নেল ফারুক ছিলেন। আমার সঙ্গে দীপু মনি এই যে এখান থেকে গেলেন। আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে, সবাই জানে। আমি মানুষের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছি। এখন ১০ হাজার লোক নিয়ে আমার পক্ষে মুভ করা সম্ভব। তাতে কিন্তু ভালোমতো ভোটটা হবে না। একলা একলা যখন মানুষ কথা বলে, নীরবে কথা বলে, একা একা কথা বলে, তখন অনেক ভালো কনসেনট্রেশন হয় এবং সে ইম্পরট্যান্স ফিল করে। সে জন্য আমি মনে করি, মানুষের কাছে একা একা যাওয়ার ভ্যালু অনেক বেশি। আপনি দেখতে চান, আধা ঘণ্টার মধ্যে এখানে ১০ হাজার লোক হাজির হয়ে যেতে পারে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা এই এলাকায় একটা বড় মিডিয়া সেন্টার গড়তে চাই। যাতে সব রকমের, বিশেষ করে ইয়াং মিডিয়া যারা আছে, তারা সেই সেন্টারের মাধ্যমে অনেক কিছু করতে পারে।’