মৌলভীবাজারে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। জেলার কুলাউড়া উপজেলার গাজীপুর গ্রামে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভয়ে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে প্রথম দফায় বেঁচে উঠলেও অবশেষে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের চতুর্থ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক স্বামী। 

সিলেট কোতোয়ালি থানার লামাবাজার ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, গত ১ এপ্রিল উসমান আলীর ছেলে আনসার আলী স্ত্রী আজিরুন বেগমকে গলা কেটে হত্যার পর ঘরের ভেতর বস্তাবন্দী করে লুকিয়ে রাখেন। পরে স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে থানায় গিয়ে জিডিও করেন তিনি।

এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে আনসারের ঘর থেকে গতকাল রোববার তাঁর স্ত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার করে। সে সময় আনসার আলী পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে নিজেই গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে পুলিশি হেফাজতে গত ২ এপ্রিল তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
 
এরপর সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের চতুর্থ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে আনসার। সংবাদ পেয়ে পুলিশ হাসপাতালের নিচ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

রবিউল ইসলাম আরো জানান, লাশটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।