গাজীপুর সিটি মেয়র একদিনের রিমান্ডে

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাসচালকের সহকারীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) মেয়র এম এ মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত ১-এর বিচারক রেহেনা আক্তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুরের কারাগার থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মেয়র মান্নানকে গাজীপুরের আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ কালিয়াকৈরে একটি বাসে আগুন দিয়ে চালকের ঘুমন্ত সহকারীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে।
শুনানি শেষে বিচারক রেহেনা আক্তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে বাস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ একাধিক অভিযোগে গাজীপুরের জয়দেবপুর, শ্রীপুর, কালিয়াকৈরসহ বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় জামিনে রয়েছেন তিনি।
ঢাকা-জয়দেবপুর সড়কে গাজীপুর শহরের সার্ডিগেট এলাকায় ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানী বারিধারার ডিওএইচএসের নিজ বাসা থেকে এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রায় এক সপ্তাহ আগে চিকিৎসা শেষে তাঁকে ঢাকা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট ১-এ আনা হয়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা জানান, এর আগে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় জয়দেবপুর থানার একটি মামলায় গত ১৮, ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি এম এ মান্নানকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
২০-দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ চলাকালে গত ১৫ জানুয়ারি ভোররাতে দুর্বৃত্তরা কালিয়াকৈর উপজেলার মহিষবাথান বটতলা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে পার্ক করে রাখা পোশাক শ্রমিক বহনকারী একটি বাসে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে। এতে আগুনে পুড়ে বাসচালকের সহকারী তোফাজ্জল হোসেন (১৭) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সভাপতি হুমাইয়ুন কবির খান ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ বিএনপি-জামায়াতের ৩৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা করে। নিহত তোফাজ্জল হোসেন সুনামগঞ্জ জেলা সদরের নারায়ণতলা এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে।