ইবি উপ-উপাচার্যের ভুয়া পিএইচডি অর্জনের অভিযোগ
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের একটি অংশ।
এর আগে উপ-উপাচার্যের ভুয়া পিএইচডি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হলেও তদন্ত কমিটি না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘উপ-উপাচার্যের জাল পিএইচডি বিষয়ে শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত শিক্ষক নেতারা জানান, উপ-উপাচার্য পিএইচডির জন্য নিবন্ধন পান ২৪ জুলাই। আর থিসিস পেপার জমা দেওয়ার আবেদন করেন একই বছরের ৩ জুলাই। কীভাবে তিনি নিবন্ধন পাওয়ার আগেই থিসিস পেপার জমা দেওয়ার আবেদন করেন? এটাই তাঁর ভুয়া পিএইচডির উল্লেখযোগ্য প্রমাণ।
শিক্ষক নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, স্বীয় তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর সময় আবশ্যক। কিন্তু উপ-উপাচার্য সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে মাত্র পাঁচ মাস সাত দিনে এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল কে এম সালেহ প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল জাল কাগজপত্র দেখিয়ে আমার ইমেজ ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি সম্পূর্ণ বৈধভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছি।’