ঘুম থেকে ডেকে ভাইবোনকে হত্যার অভিযোগ, ছোট ভাই আটক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে বাড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই ও বোন খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে সন্দেহে গণপিটুনির শিকার ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম ফ্রাঙ্কলিনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে নির্মম এ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কাদিরগঞ্জের মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৫০) ও মেয়ে আখতার জাহান কল্পনা (৪৫)। আহতরা হলেন মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪২), মনিরুল ইসলামের মেয়ে উম্মে কুলসুম (২০), ছেলে নিয়ামত উদ্দিন (২০) ও নিহত সাদেকুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০)। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পরিবারটির মধ্যে বাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রোববার রাতে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তরিকুল ধারালো অস্ত্র নিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঘরের দরজায় গিয়ে টোকা দেয়। প্রথমে বড় ভাই সাদেকুল ইসলাম ঘুম থেকে জেগে দরজা খুলতেই তরিকুল শাবল ও হাঁসুয়া দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর পর বড় বোন আখতার জাহান কল্পনাও দরজা খুলে বের হলে তিনিও একইভাবে খুন হন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এসে তরিকুলকে ধরতে গেলে সে আরো চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে তরিকুলকে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জাহানারা বেগম জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে তরিকুল ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে তাদের দরজায় ধাক্কা দেয়। স্বামী সাদেকুল ইসলাম দরজা খোলামাত্রই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর পর আখতার জাহান কল্পনাকেও একইভাবে কোপায় তরিকুল। তাকে বাধা দিতে গিয়ে মনিরুল, কুলসুম, নিয়ামত ও তিনি আহত হয়েছেন। পরে তাঁদের চিৎকারে নিয়াম উদ্দিন ও ইউসুফসহ স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে তরিকুলকে আটক করে গণধোলাই দেন। এ সময় তরিকুলকে একটি ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়।