রিভিউ করবেন মীর কাসেম আলী

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করবেন।
আজ শনিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ ছেলেসহ পাঁচ আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই রিভিউয়ের নির্দেশ দেন মীর কাসেম।
আজ বেলা পৌনে ১২টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করেন ছয়জন। প্রায় ৪০ মিনিট সময় কারাগারের ভেতরে অবস্থান করে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।
সাক্ষাৎ শেষে আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের জানান, মীর কাশেম আলী তাঁর দণ্ডের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, যে ঘটনায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সে ঘটনার সময় তিনি ওই এলাকায় ছিলেন না। তিনি যেহেতু ঘটনাস্থলেই ছিলেন না, সেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। এ জন্য মীর কাশেম আলী রিভিউ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর কারাধ্যক্ষ নাসির আহমেদ জানান, মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম, আইনজীবী ব্যারিস্টার মতিউর রহমান আকন্দ, বজলুর রহমান, নজিবুর রহমান ও নুরুল্লাহ আজ কারাগারে এসেছিলেন। কারাগারের একটি কক্ষে তাঁরা দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
মীর কাসেম আলী এই কারাগারের ফাঁসির বন্দিদের জন্য নির্ধারিত ৪০ নম্বর সেলে বন্দি রয়েছেন। ২০১২ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। তবে ২০১৪ সালের আগে তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় থাকলেও দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাঁকে ফাঁসির সেলে পাঠানো হয়।
গত ৮ মার্চ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোর জসিমসহ ছয়জনকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফাঁসি বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এ ছাড়া রঞ্জিত দাস, টুন্টু সেন হত্যার দায় থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।