চুয়াডাঙ্গায় নজরুল হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা
চুয়াডাঙ্গার ক্লিনিক মালিক নজরুল ইসলাম খুনের ঘটনাকে পুলিশ ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী চম্পা বেগম।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চম্পা বেগম এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে দুপুরে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল হালিমের আদালতে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সেটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার জন্য আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তছিরুল আলম মালিক ডিউক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে চম্পা বেগম জানান, নজরুল খুন হওয়ার পর ঘটনাস্থলে লাশ যখন পড়েছিল, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করে প্রতিপক্ষের লোককে দিয়ে মনগড়া এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
গত ৬ জুন দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দিন নিহতের চাচা আবু তালেব বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ দিকে সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, নজরুলসহ সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় তিনটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর আগে খুন হয়েছে যুবলীগের আজিজুল ও ভুলু । এ তিনটি খুনের নেপথ্যেই রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। অথচ, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ প্রত্যেকটি খুনের তদন্ত ও ঘটনার নেপথ্য ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি প্রকৃত অপরাধীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।