বিকেলে এসে শিক্ষার্থীরা জানলেন, সকালে পরীক্ষা হয়ে গেছে
সময় বিভ্রাটের কারণে খুলনা বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ২২ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি।
তাৎক্ষণিক ঘটনায় হতবাক ওই পরীক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে প্রথমে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং পরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। রুটিন অনুযায়ী আজ দুপুর ২টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ও নীতিমালা (কোড-৩১২২৫৮) কোর্সের পরীক্ষা দিতে খুলনা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে যান তাঁরা।
পরীক্ষার হলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন তাঁদের নির্ধারিত কোর্সের পরীক্ষা সকাল ৯টায় হয়ে গেছে। অথচ পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনার ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। কেন্দ্র থেকে তাদের কোনো প্রকার নোটিশ করা বা ঘোষণায় জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কিছুই করার নেই। নোটিশ ইন্টারনেটে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তুলেন, সব পরীক্ষার্থী কি ইন্টারনেট ব্যবহার করে? গত ২৮ মে তাদের আগের কোর্সের পরীক্ষা হয়েছে। সেদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে একবার ঘোষণা দিলে আজ এ ধরনের বিপদে পড়তে হতো না। এখন প্রত্যেকের শিক্ষা জীবনের একটা বছর নষ্ট হবে।
পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা হলেন তানজিলুর রহমান, আমিনুল হক, এস এম মনিরুজ্জামান, ইমরান গাজী, লোকনাথ মণ্ডল, সুতপা ঢালী, তেরেজা গিলবার্ট, হালিমা খাতুন, খাদিজা বেগম, বেল্লাল হোসেন, মাসুদা আখতার, লিপিকা বিশ্বাস, হোসনে আরা, নাজমা খাতুন, রূপা খাতুন, শহিদুল ইসলাম, চন্দন রায়, তনুশ্রী দাস, দেবদাস মণ্ডল, মাহবুবুল হক, মিথুন রায়, সুমিত্র হালদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষা বঞ্চিত ওই সব শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়া রুখতে যেকোনো দিন ওই কোর্সের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আকুল আবেদন জানান।