চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর রোডে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

বাসস্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদের চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর রোডে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে এ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের দূরত্ব ২৮ কিলোমিটার। এ রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও দুই জেলার সীমান্ত এলাকা মেহেরপুরের দরবেশপুর পর্যন্ত লোকাল বাস চলাচল করছে। প্রতিদিন এ রুটে মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আটটি বাস এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের ১০টি বাস চলাচল করে থাকে।
এদিকে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার লোকাল বাস এবং মেহেরপুর থেকে ঢাকার বাসগুলো চুয়াডাঙ্গা হয়ে চলাচল করলেও বিপাকে পড়েছে খুলনা ও বরিশালগামী আটটি বাস। এ আটটি বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে মালিক ও সাধারণ যাত্রীরা পড়েছে বিপাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন মালিক জানান, গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদার দাবিতে মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতির বাসগুলোকে মেহেরপুর মালিক সমিতির সাধারণ সদস্যরা ফেরত পাঠায়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে দুই জেলার সীমান্ত এলাকা দরবেশপুর পর্যন্ত উভয় মালিক সমিতির বাস চলাচল করতে থাকে। এমনকি ঢাকাগামী বাস চলাচলও করতে থাকে। তবে বরিশাল রুটে আলসানি ও বরিশাল ডিলাক্স এবং খুলনা রুটে সোহেল পরিবহন ও আরএ পরিবহনের চারটি গাড়ি সময় নিয়ন্ত্রকদের বাধায় চলাচল করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ গোলাম রসুল জানান, দুই মাস আগে দুই জেলার পাঁচটি মালিক-শ্রমিক সমিতির বৈঠকে গাড়ি প্রতি কোনো টাকা নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অথচ পরবর্তী সময়ে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সময় নিয়ন্ত্রকরা ৫০ টাকা করে নেওয়া শুরু করে।
এরপর আবারো ৫০ টাকা এবং অতিরিক্ত আরো ১০ টাকা করে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দিনে চারবার চলাচলের জন্য গাড়ি প্রতি ২৪০ টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। এর ফলে বিক্ষুব্ধ মেহেরপুরের সাধারণ মালিকরা চুয়াডাঙ্গার বাস ফেরত পাঠায়। একইভাবে মেহেরপুরের সাধারণ মালিকরাও চুয়াডাঙ্গার বাসপ্রতি ২৪০ টাকা হারে চাঁদা দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ এ নাসির জোয়ার্দ্দার টেংরা জানান, মেহেরপুরে গাড়ি বন্ধ করার বিপক্ষে তিনি। গত দেড় মাস ধরে চাঁদার টাকা দিয়ে বাস চলাচল করছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক গ্রুপের প্রস্তাব ঈদের পর দুই জেলার মালিক সমিতি যেকোনো জায়গায় বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামীকাল বুধবার থেকে সরাসরি বাস চলাচল আবারো শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চুয়াডাঙ্গার পরিদর্শক এস এম সবুজ জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।