বিদেশি সংস্থাগুলো সব সময় প্রবৃদ্ধি কম হিসাব করে

প্রবৃদ্ধির হার সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিদেশি সংস্থাগুলো সবসময় প্রবৃদ্ধি কম হিসাব করে। তাই আমি মনে করি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ০৫ এর নিচের ধরা ঠিক নয়।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর দেওয়া সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বার্তা সংস্থা বাসসের এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সব সরকারই সম্পূরক বাজেট উপস্থাপনের সুযোগ নিয়েছে। সংবিধানই সরকারকে এই অধিকার দিয়েছে। তিনি এই ব্যবস্থার প্রশংসা করে আমেরিকা ও ব্রিটেনেও আলোচনা হয় যে, সম্পূরক বাজেট উপস্থাপনের যে সুযোগ বাংলাদেশ ও ভারতে রয়েছে, তা তাদের এখানে থাকলেও ভালো হতো।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ৯০ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটের আকার সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বটে। তবে এটা সরকারের সক্ষমতারও প্রমাণ। গত বছরে রাজস্ব আদায় বিঘ্নিত হয়েছে। এর আগের বছরগুলোতেও রাজস্ব আদায় কম হয়েছে, তবে এতটা কম হয়নি। রাজস্ব আদায়ের এই স্থবিরতা সাময়িক।
দুর্নীতি প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দেয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেরিতে হলেও সরকার বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছে। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এখন এমন অবস্থানে পৌঁছেছি যে, এ ধরনের মেগা প্রকল্প গ্রহণে সক্ষম।’
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, সম্পূরক বাজেটে যে দাবি সমূহ করা হয়েছে, তা খুবই সামান্য। যে অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, তা আসলে অতিরিক্ত নয়। উপস্থাপিত বাজেট ভালোভাবে দেখলে তা স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে বলেই এই অতিরিক্ত দাবি করা হয়েছে।
এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, যেই খাতে বরাদ্দ বাড়ালে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে, সেবা খাতের প্রসার ঘটবে, সেই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।
জাতীয় পার্টির অপর সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর শিক্ষা খাতে অতিরিক্ত ব্যয়ের সমালোচনা করে বলেন, এই খাতে ব্যয় বৃদ্ধি যুক্তিযুক্ত হতো যদি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির ব্যয়ও যদি এর সঙ্গে যুক্ত করা হতো।
একই দলের সদস্য সেলিম উদ্দিনও সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।