আশুগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, ভোট কারচুপি, সন্ত্রাসী হামলা ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। হাজি মো. নূরুল ইসলাম নামে ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবি করেছেন, অনিয়মের মাধ্যমে তাঁর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জেলার আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারের হাজি জহিরুল ইসলাম(জারু)মিয়ার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজি মো. নূরুল ইসলাম।
গত ৪ জুন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রশাসনের সহযোগিতায় বিশেষ সুবিধা ভোগ করেছে। নির্বাচনের প্রচারের সময় বাধা দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। গত ৪ জুন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাউদ্দিনের পক্ষে সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে কেন্দ্র দখল করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন কেন্দ্রে ককটের ও বোমা বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ব্যালট ছিনিয়ে নেয় এবং প্রকাশ্যে সব ব্যালটে সিল দিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ব্যালট শেষ করে দেয়।’
নূরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এ সময় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নীরব ভূমিকা পালন করেন। সদর ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং কেন্দ্রে দুপুর ১২টার পর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কোনো ব্যালট ছিল না।’ এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খরা বাহিনীসহ নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলে তাঁদের কিছুই করার নাই বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সোহাগপুর গ্রামের হাজি মিলন শাহ, ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান,জহিরুল হক সিকদার হাজি মো. হেলাল মিয়া সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।